রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
হারুন-অর-রশিদ বাবু- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে বৈষম্যমুক্ত, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে গণমিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, রংপুর মহানগর শাখা।
মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) বিকেল ৩:৩০ টায় রংপুর নগরীর পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে মহানগরীর প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড থেকে জামায়াতের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক সমবেত হন। পরে সেখান থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে নগরীর সিটি বাজার, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, গ্র্যান্ড হোটেল মোড় প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
পুরো মিছিলজুড়ে বিভিন্ন স্লোগানে—“জামায়াত শিবির জনতা গড়ে তোল একতা”, “জামায়াত শিবির গড়বে দেশ”, “ইনসাফের বাংলাদেশ জামায়াত শিবির গড়বে দেশ”, “মানবিক বাংলাদেশ, জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার”, “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?”, “জুলাই শহীদদের প্রেরণা ভুলি নাই, ভুলবো না”—মুখরিত হয়ে ওঠে।
এ সময় গণমিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জামায়াতের রংপুর মহানগর আমীর উপাধ্যক্ষ এটিএম আযম খান, সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক কাজল, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী, আল-আমিন হাসান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রংপুর-দিনাজপুর সহকারী অঞ্চল পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাসেম বাদল, রংপুর মহানগর সভাপতি এডভোকেট কাওছার আলী, তা’য়ালীমূল কুরআন বিভাগের দায়িত্বশীল মাওলানা শাহজাহান সিরাজ, সাবেক শহর শাখার আমীর অধ্যাপক রুহুল কুদ্দুস,বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রংপুর মহানগর সভাপতি নুরুল হুদা সহ স্থানীয় দায়িত্বশীলবৃন্দ।
গণমিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। শুরুতেই তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, শহীদদের রক্তস্নাত এই বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেব না। নতুন করে আর কোনো ফ্যাসিবাদ যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়-ইনসাফের বাংলাদেশ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ মুক্ত বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি শহীদদের রক্তের উপর দিয়ে শপথ নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে বলেন, বিগত স্বৈরাচারের দোসররা বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে ঘাপটি মেরে বসে আছে। সুতরাং দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।
মহানগর সেক্রেটারি কে এম আনোয়ারুল হক কাজলের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে রংপুর মহানগর আমীর উপাধ্যক্ষ এটিএম আযম খান বলেন, গণঅভ্যুত্থানে জীবন দেওয়া অসংখ্য শহীদের এই বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য মেনে নেওয়া হবে না। বিশেষ করে আবু সাঈদের এই রংপুরে আর কোনো বৈষম্য মেনে নেওয়া হবে না। তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, রংপুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের রাস্তাঘাট মেরামতসহ সার্বিক উন্নয়নে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রংপুর মহানগর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রংপুর মহানগর সভাপতি নুরুল হুদা সহ আরো অনেকে।